নাটোর কণ্ঠ:
সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দেশের অন্যান্য স্থানের মত নাটোরেও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নিরাপত্তায় অস্ত্রধারী আনসার সদস্য (নিরাপত্তারক্ষী) মোতায়েন করা হয়েছে। ইউএনওদের নিরাপত্তায় শুক্রবার রাত থেকেই দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন তারা। শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়াইগ্রাম উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা।
ইউএনও জাহাঙ্গীর আলম জানান, আপাতত বাসার নিরাপত্তার জন্য চারজন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। পরবর্তীতে শারীরিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার দায়িত্ব পালন করবেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার জানান, দূর্বৃত্তের হামলায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম গুরুতর আহত হওয়ার পর সরকার সারা দেশের সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নিরাপত্তা জোরদারের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে শুক্রবার ইউএনওদের সার্বক্ষণিক শারীরিক ও বাসভবনের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য অঙ্গীভুত সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েনের জন্য আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক বরাবর নির্দেশ দেয়।
জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ আরো জানান, এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধায় আনসার ও ভিডিপি রাজশাহী রেঞ্জের পরিচালক ফজলে হোসেন রাব্বী বিভাগের আটটি জেলার কমান্ড্যান্টকে একটি নির্দেশনা পাঠান। এতে প্রত্যেক ইউএনও’র জন্য ১০ জন করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই নির্দশের পর রাজশাহী বিভাগের ৬৬টি উপজেলায় ইউএনওদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আনসার বাহিনীর একজন পিসি, একজন এপিসি ও আটজন সদস্যসহ মোট ১০জন করে সশস্ত্র নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়। নাটোর জেলার সকল ইউএনওর ক্ষেত্রেও একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।