বুলবুল আহাম্মেদ : নাটোরের বড়াইগ্রামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওএমএস চাল (১০ টাকা কেজি) বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে গোপাল চন্দ্র নামের এক ডিলারের লাইসেন্স বাতিল এবং তার সহযোগি ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আনোয়ার পারভেজ।
এছাড়া সুবিধাভোগী কার্ডধারী যাদের চাল দীর্ঘদিন আত্মস্মাৎ করা হয়েছে, তাদের ক্ষতি পূরণের নির্দেশ দেন তিনি। অভিযুক্ত ওএমএস ডিলার গোপাল চন্দ্র উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং তার সহযোগি ফারুক হোসেন একই ইউনিয়নের চৌমুহান গ্রামের বাসিন্দা। এক প্রশ্নের জবাবে শুক্রবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসব কথা বলেন।
উপজেলা খাদ্য অফিস সুত্রে জানা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওএমএস ডিলার গোপালচন্দ্র দীর্ঘদিন থেকে কিছু কার্ডধারী গ্রাহেকর সাথে প্রতারণা করে তাদের কার্ডের বিপরিতে স্বাÿর নিলেও চাল ছিলেন না। কার্ড দীর্ঘ দিন নিজের কাছে রেখে ভুয়া স্বাক্ষর লিপিবদ্ধ করে রাখতেন তিনি ও তার সহযোগী ফারুক হোসেন। পরে চৌমুহান গ্রামের ৬ জন কার্ডধারী আশরাফুল ইসলাম, ভুট্টু মিয়া, ছমিরণ বেগম, রাশিদা বেগম, জালাল উদ্দিন ও জাহিদ হোসেন লিখিত ভাবে বিষয়টি ইউএনও মো.আনোয়ার পারভেজকে জানান।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, উপজেলা কমিটির সদস্যদের দিয়ে তদন্ত্ম করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ওই নির্দেশ দেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিকাশ চন্দ্র বলেন, আমি বৃহস্পতিবার বদলী হয়ে গেছি তাই বিস্ত্মারিত বলতে পারছি না। তবে গোপাল চন্দ্রের অনিয়মের বিষয়ে আমি অবগত হয়েছিলাম। তিনি বলেন, নতুন অফিসার এসে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।