বাগাতিপাড়ায় এক কালভার্টের তলদেশ উঁচু হওয়ায় হাজার বিঘা জমি প্লাবিত

0
320

বাগাতিপাড়ায় এক কালভার্টের তলদেশ উঁচু হওয়ায় এক হাজার বিঘা জমি প্লাবিত

ফজলে রাব্বি,বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় একটি কালভার্টের তলদেশ খালের গভীরতার চেয়ে উঁচু হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে উপজেলার আট গ্রামের প্রায় এক হাজার বিঘা জমি প্লাবিত হয়েছে। এসব জমিতে জলাবদ্ধতার কারনে ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। কালভার্টের তলদেশ ভেঙ্গে পানি নিষ্কাশনের পথ বাধামুক্ত করতে এবং খাল সংস্কারের দাবিতে সম্প্রতি এসব এলাকার কৃষকরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর এ সংক্রান্ত লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়াও সাতটি দপ্তরে এর অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।
কৃষকরা জানান, প্রবল বর্ষণে উপজেলার মাছিমপুর, সোনাপাতিল, বড়পুকুরিয়া, হিজলতলা বিল, পেড়াবাড়িয়া বিল, পূর্ব কোয়ালিপাড়া, যোগিপাড়া, বাগমারা কামারি বিল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার তিন ফসলি প্রায় ৩০০ একর কৃষি জমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এসব বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বারইপাড়া খাল। খালটি দিয়ে ওই আটটি গ্রামের প্লাবিত পানি মাছিমপুর ২২১নং রেলওয়ের ব্রীজ হয়ে বড়াল নদীতে প্রবেশ করে। কিন্তু যোগিপাড়ার অদূরে বারইপাড়া থেকে মাছিমপুর প্রবেশমুখ স্থানে খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে একটি কালভার্ট। নির্মাণের সময় কালভার্টের তলদেশ খালের গভীরতার চেয়ে প্রায় চার-পাঁচ ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে পলি জমে ওই কালভার্টের মুখ এখন প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে খাল বেয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে নিঃস্কাশন না হওয়ায় কৃষি জমিতে আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাছিমপুর গ্রামের আঃ গণি জানান, শুধু এ বছর প্রবল বর্ষণেই নয় প্রতিবছর বর্ষা মওসুমে পানি নিঃস্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহ না থাকায় দিনের পর দিন খালটির গভীরতাও কমে আসছে। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকার ফসল ডুবে হাজার হাজার কৃষক অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী জানান, কালভার্ট-সাঁকোর তলদেশ খাল বা নালার গভীরতার চেয়ে উঁচু হওয়ায় পানি নিঃস্কাশন তেমন ভাবে হয়না। ফলে ওই আটটি গ্রামের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে তিনি সমন্বয় মিটিং ও সেচ মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, মাছিমপুরের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। দ্রুতই পানি নিঃস্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তিনি গ্রহন করবেন।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধভাঙ্গন দেখতে শোলাকুড়ায় উৎসুক মানুষের ভীড়, মালামাল স্থানান্তর বাধাগ্রস্ত
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার বানভাসি মানুষের পাশে মনিরুজ্জামান মনির

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে