সাংবাদিকরাই শুধু পাবলিকলিই আত্মসমালোচনা করে,আসুন আশাবাদী হই- আমীন আল রশীদ

0
286
আমীন আল রশীদ

আসুন আশাবাদী হই:

১. সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত পেশা পুলিশ। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কখনো দেখেছেন যে, পুলিশের লোকেরা তাদের পেশা নিয়ে বা তাদের উচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের নিয়ে সমালোচনা করেছেন?

২. সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে হাতেগোণা কিছু লোক বাদে অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে অসৎ। কিন্তু তারা কি নিজেদের সমালোচনা করেন?

৩. ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু কখনো দেখেছেন যে ফেসবুকে ডাক্তাররা নিজেদের গালাগাল করেন?

করেন না। একমাত্র ব্যতিক্রম সাংবাদিকরা।

প্রতিটি ঘটনার পরে সাংবাদিকরা যেভাবে আত্মসমালোচনা করেন; যেভাবে নিজেদের গালাগাল করেন; নিজেদের ব্যর্থতার কথা প্রকাশ্যে বলেন; এমনকি মালিক ও বিজ্ঞাপনদাতাদেরও যেভাবে ধোলাই করেন—সেটি কি আশাব্যঞ্জক নয়?

আশাব্যঞ্জক এই অর্থে যে, যেহেতু সাংবাদিকরা নিজেদের সমালোচনা করছেন, তার মানে যে ধরনের সাংবাদিকতা কাঙ্ক্ষিত; যে ধরনের সাংবাদিকতার কারণে এটি ‘গণমাধ্যম’—সেটি যেহেতু হচ্ছে না, তাই এ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যেই অসন্তুষ্টি আছে।

তারা অন্য পেশার লোকদের চেয়ে উদার বলেই ফেসবুকের মতো পাবলিক প্লেসেও নিজেদের সম্পর্কে অনায়াসে তিক্ত কথাগুলো বলে ফেলেন। বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির খবর চেপে যাওয়া বা সঠিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার না করার ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার সাংবাদিকরাই। এর আগে হেফাজত ইস্যুতেও যে ধরনের বস্তুনিষ্ঠ ও জনসাংবাদিকতা কাঙ্ক্ষিত ছিলো, তা না হওয়ায় সাংবাদিকরাই সমালোচনা করেছেন। কারণ তারা জানেন, সরকার ও গণমাধ্যমের ভাষা এক হয়ে গেলে সেখানে জনগণের ভাষা থাকে না।

তার মানে ভালো সাংবাদিকতা বা জনসাংবাদিকতার একটা আকাঙ্ক্ষা সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছে। এই আকাঙ্ক্ষাই সাংবাদিকতার সুদিন ফিরিয়ে আনবে।…

২৮ এপ্রিল ২০২১

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংড়ায় কৃষক মকবুলকে মারপিট, হাসপাতালে ভর্তি
পরবর্তী নিবন্ধহাত-পা বিহীন গুরুদাসপুরের মিজানুরের হাল না ছাড়ার গল্প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে