নাটোর কন্ঠ :
রাজশাহীর বাঘায় রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চার ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছে প্রভাবশালী মহল। অভিযোগ পেয়েও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মো. রসুন মন্ডলের ছেলে মো. এনামের হাবাসপুর বিলের মধ্যে কাঁচুর ডিপ টিওবয়লের পাশের জমি, চার বছরের জন্য তের লক্ষ টাকায় লিজ নেয় একই উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের মৃত ভাদু মন্ডলের ছেলে অসিত মন্ডল। লিজ নেওয়া সেই জমি সরকারের অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে তিনি পুকুর খনন শুরু করে।
স্থানীয় কৃষকরা নাটোর কণ্ঠকে জানান, এখানে পুকুর খনন হলে তাদের জমি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে এবং পুকুরের পাড় ভেঙে তাদের জমির ক্ষয়ক্ষতি সহ ফসল করতেও তাদের সমস্যা হবে। এছাড়া পুকুর খননকারী প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না তারা। স্থানীয় প্রশাসন নাম মাত্র দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও তারা রাতের অন্ধকারেই পুকুর খনন করছে এমন অভিযোগ তাদের। স্থানীয় প্রশাসন পুকুর খননকারির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে তারা অভিযোগ করেছেন।
লিজ গ্রহীতা অসিত মন্ডল নাটোর কণ্ঠকে জানান, চার বছরের জন্য প্রচুর টাকা দিয়ে এই জমিটা লিজ নেওয়া হয়েছে, যদি মূলধন ফেরত না পাই, তবে আর্থিকভাবে সংকটে পড়বে, জমির ফসল দিয়ে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না তাই পুকুর খনন করছে, মাটি বিক্রি করে কিছু আয়য়ের চেষ্টা করছি, তিনি আরো জানান, যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে একবার অভিযান পরিচালনা হয়েছে তবুও নিজের টাকা উত্তোলনের আশায় পুনরায় খনন কাজ করছে, পুকুর খনন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও কেন করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান স্থানীয় বিভিন্ন মহল কে ম্যানেজ’ করেই করছেন বলে তিনি জানান।
বাঘা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম রেজা নাটোর কণ্ঠকে জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমরা খননকারী কে খুঁজে পায়নি পরবর্তীতে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন এবং এলাকাবাসীর মাধ্যমে সর্তকতা জারি করা হয়েছে যাতে সে পুকুর খনন না করে। যদি তার পরেও পুকুর খনন করে আমরা পুনরায় অভিযান পরিচালনা করব বলে তিনি জনিয়েছেন। এসময় রাতে অভিযানের সময় সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার আহবান করেন।