হঠাৎ ভ্রমন কুয়াকাটায় -প্রথম পর্ব
বেণুবর্ণা অধিকারী : দুপুরে বাসায় ছিল আড্ডা, খাইদাই, গান-কবিতার ভেতর দিয়ে পার করলাম। ৬ঃ৩০ টায় পাঠাও নিয়ে সদরঘাট। ঘাটে পৌঁছাতেই ৮ঃ৩০ বেজে গেল। পটুয়াখালীর লঞ্চ পেলাম না সেগুলো ৭ঃ০০ টায় ছেড়ে যায়। অগত্যা বরিশালের লঞ্চই গতি। কিন্তু বৃহস্পতিবার বিধায় কোন লঞ্চেই কেবিন নেই, এত ঝামেলা করে এসে ফেরত তো যেতে পারি না। আর ছুটিও একটা বিষয়, এরপর কবে ছুটি পাব তার ঠিক নেই।
সাগর ডাকছে কিন্তু দীর্ঘ বাস জার্নি করে কক্সবাজার এ এই স্বল্পসময়ের জন্য যেতে চাইনি, আর ওখানে এখন মানুষের মেলা। তাই কুয়াকাটায় যাব নিজের মত করে একাই।
সেই ২০০২ এ মনে হয় একবার এসেছিলাম আন্ডাবাচ্চা নিয়ে৷ অসাধারণ লেগেছিল কুয়াকাটা তখন।
এখন কি অবস্থায় আছে কুয়াকাটা জানিনা, তাই এটার আকর্ষনেই আসা। ভোর ৪ঃ৩০ এ লঞ্চ বরিশালে ভিড়লো। যেহেতু ডেকে এলাম তাই বের হওয়ার সময় টিকেট করতে হয়, ভাড়া ২০০/-টাকা। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার থাকায় ৫ঃ৩০ এ বের হলাম। মেইন রোডে এসে পাবলিক সিএনজিতে রুপাতলীর বাস গেলাম। অপোজিটে গিয়ে কুয়াকাটার বাস কাউন্টার থেকে কুয়াকাটার বাস সুলতান ক্লাসিকস এ উঠলাম, ভাড়া ২৪০/-টাকা।
নিরুদ্দেশ যাত্রার এই এডভেঞ্চার মন্দ লাগছে না।
তবুও সেঞ্চুরি রিসোর্টের স্বত্ত্বাধিকারি জি আর নাসির স্যারকে ফোন করে তার রিসোর্টে থাকার কথা বললাম। উনি বললেন কোন সমস্যা নেই, ওখানকার ম্যানেজারের নম্বর দিচ্ছি। প্রথম বাস ছেড়েছে ৬ঃ২০ এ, সকাল ১০ঃ৩০ এ কুয়াকাটা পৌঁছে গেলাম। নেমেই বিচে চলে গেলাম, সাগরের কাছে এসে তার সাথে দেখা না করে গেলে সেটা অন্যায় হবে। সেখান থেকে ১১ টায়ই গরম আগুনধোঁয়া ভাত, ইলিশভাজা সাথে শুকনামরিচ ভাজা আর পেঁপে ভর্তা দিয়ে পেট ভরে খেয়ে নিলাম।
এখানকার হোটেলের রান্না অসাধারণ। খেয়ে সেঞ্চুরি বাটারফ্লাই পার্ক এন্ড রিসোর্ট এ উঠলাম। হোটেলটা দেখার মত হচ্ছে, এখনো কিছুটা বাকি আছে। আশেপাশের বিশাল স্থাপনার মধ্যে এটা ভিন্নমাত্রার কিছুটা। পরিচিতির সুবাধে বিশাল বড় এক রুম আমাকে দিয়েছেন, যে রুমে পরিবারের ৫/৬ জন অনায়াসে থাকতে পারবে। গিজারে পানি গরম করে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
ক্রমশঃ