উত্তরা গণভবন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যাশা – সুখময় রায় বিপলু

0
375

হ্যাপী নিউ ইয়ার-২০২১ এর প্রথম দিনে আমরা ইঙ্গিত থিয়েটার ও ভোর হলো, নাটোর এর ব্যানারে ছেলেমেয়ে পরিবারসহ ৬৫ জনের দল যাই নাটোর-দিঘাপতিয়া রাজবাড়ী-যেখানে ০৯ ফেব্রুয়ারি,১৯৭২ বঙ্গবন্ধু এসে আগের মোনায়েম খাঁর ‘গভর্নর হাউজ’ নাম পাল্টে নতুন নামকরণ করেছিলেন “উত্তরা গণভবন। আনন্দ-ভ্রমণের পাশাপাশি শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে আমরা প্রায় সারাদিন সেখানে কাটাই। ঘুরে বেড়িয়ে, ঐতিহাসিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস-স্থাপনা দেখে ও দেখিয়ে এবং আলোচনা-নাচ-গান-আবৃত্তি-বিভিন্ন মজার খেলাধূলা, যাদু ও লটারি’র মাধ্যমে বিস্তর অভিজ্ঞতা নিয়ে করোনামুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যমুক্ত সমঅধিকারের বাংলাদেশ কামনায় ফিরে যাই নৈমিত্তিক জীবন সংগ্রামে।
সেখানে আমাদের পর্যবেক্ষণ ও প্রত্যাশা হলো, **উত্তরা গণভবনে প্রবেশের টিকেট পুনরায় ১০ টাকা করলেই ভাল হয় এবং গেটেই ন্যূনতম ১০ টাকা মূল্যে গাইডবুক রাখাটা খুব দরকার।
**সংগ্রহশালায় প্রবেশের টিকেট ৩০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা পুননির্ধারণ করাসহ ভেতরে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু দর্শনার্থীদের দেখার জন্য পথ নির্দেশিকা চিহ্ন (ঢাকাস্থ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের মতো) রাখা এবং বন্ধ ঘর গুলো খুলে দিয়ে তথায় থাকা বাসন-কোসন ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভগ্নাবশেষ হলেও সেসব সেই অবস্থাতেই দেখা ও জানার ব্যবস্থা করাসহ গাইড ও গাইডবুক রাখা অবশ্যই প্রয়োজন।
**নিরাপত্তা রক্ষী নিযুক্ত করে ইটালিয়ান গার্ডেন ও পুরো প্যালেস খুলে দেয়া (প্রয়োজনে সেখানে প্রবেশের টিকেট ১০ টাকা করা যেতে পারে)।
**চিড়িয়াখানা সংলগ্ন ‘৭১ এর বধ্যভূমি বা লাশের কূপ বলে খ্যাত বাঁধানো ঢাকনাযুক্ত জায়গাটির নাম ফলক ও সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা একান্ত জরুরি।
উপরে বর্ণিত আমাদের প্রত্যাশা পুরণ হবে কি?

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধগুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বিপ্লব বহিষ্কার
পরবর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামের চান্দাইয়ে বিপন্ন ছোট খাটাশ উদ্ধার ও অবমুক্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে