যমদূত
ছায়া ছায়া দেয়ালগুলো
টপকিয়ে আসলেই
যমদূত
সিঁড়ি বেয়ে নেমে পড়ে
জলপদ্মের বুকে…
আত্মার হ্রদ ম্লান হয়ে
বলে ওঠে আজরাইল, আজরাইল।
রচনাকাল : ১৫/০৫/২০২০ইং
সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
কে বলে মানুষ পারে না
শূন্য থালা চেটে খেয়ে
মহা সড়কের অন্ধকার বেড়া
অতিক্রম করে
ক্লান্ত ও রক্তাক্ত চোখ বলে দেয়
আমি ভালো আছি
ভালো আছে – আমার যন্ত্রণার টান।
এটি এক সার্কাসের জন্ম ঋণ
সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
জীবন খায়, মানুষ না
ওরা বাঁচে, কিছু অনাহারে মরে।
রচনাকাল : ১৪/০৫/২০ইং
দ্বিপদী
পৃথিবীতে ঝুলে আছে
এক অসহায় বাদুড়
ইচ্ছেমত খেলছে তার খোলা মাঠে
গোলটা অবশেষে
মানুষ নামক দ্বিপদী প্রাণির মগজে ডিম পারে।
রচনাকাল :১৪/০৫/২০২০( গভীর রাত)
বিস্ময়
ভেতরের আলো যখন
বাইরের কড়া নাড়ে
দরজার এপাশে
প্রজ্বলিত মোম গলে গলে
এসে পড়ে – জমিনে।
মধুচন্দ্রিমার প্রহরগুলো
মিশে যায়
শিশির ভেজা সৈকতে
বিস্ময়ের মস্তক নেমে পড়ে
ডোবা জলে।
রচনাকাল : ১৩/০৫/২০২০ -১১:৩৪ মিনিট
জীবন সমাচার
আচ্ছন্ন গগন
বিদূরিত হয়ে ঝরে পড়ে
চোখের কাজলে
অনিচ্ছার জীবন
গোমড়া মুখে শোক করে
দুঃখের দেয়ালে।।
জীবন
জন্মের পর থেকে
জড়িয়ে থাকা পৃথিবীর আধুলিগুলো
ঘুমাচ্ছে নির্জন একাকীত্বে
খুব করে ঘুমাচ্ছে…
আবার হেসে ওঠে
গাও জীবনের গান।
শূন্যতা
একটি আকাশ
নির্মল বাতাস
একটি চাঁদ
হে জ্যোৎস্না কেন তাকাস?
ঘুম নেই, চুম নেই
আছে শুধু ভয়
এতো শূন্যতার কাছে
কেন জীবনের পরাজয়?
(রাতের সাথে কথা বলার সময় ১:১৭ মিনিট)