তোমার পরশটুকু চাই
পুনম বড়ুয়া নিশান
সেদিন পড়ন্ত বিকেলে দুজন হাটছি বালুময়,
কর্দমাক্ত এক দ্বীপে।
হাতে হাত এমন ভাবে ধরেছিলাম যেন মনে হচ্ছে
এই বুঝি সবচেয়ে মহামূল্যবান জিনিস আমার হাতে।
হেঁটে চলেছিলাম মাইলের পর মাইল,
যোজনের পর যোজন।
তোমায় সেদিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম,
যখন গ্রীষ্মের খরতাপে দাউদাউ করবে সারা শহর,
ঠিক তখনই কোমল বাতাস হয়ে
তোমার মধুমাখা শরীর আলতো করে ছুঁয়ে যাবো,
বর্ষার কালো মেঘ যখন বর্ষিত হবে ধরাধামে,
ঠিক তখনই ছাতার মত তোমার
আপাদমস্তক আমি বৃষ্টির ছোঁয়া থেকে রক্ষা করবো।
কারণ তোমার শরীরে অন্যকারো স্পর্শ-
আমার জন্য বেমানান।।
শরৎের মোহ মাখা ভ্যাপসা গন্ধে
কাশবনের সুগন্ধ হয়ে ছড়িয়ে দিবো
তোমার কোমল দেহে।।
কাশের কোমল স্পর্শে পুলকিত হয়ে উঠবে তুমি।
হেমন্তের দিনে শিউলি মালা হয়ে
তোমার গলায় জড়িয়ে থাকবো অহর্নিশি।
শিউলীর গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে তুমি,
তাতেই আমার তৃপ্তি।
শীতের দিনে রেশমী চাদর হয়ে
জড়িয়ে ধরবো তোমার শীতল দেহকে।
চাদর হয়ে উষ্ণতা ছড়াবো তোমার স্নিগ্ধ মাখা শরীরে,
বসন্তের দিনে কোকিলের
কুহু ধ্বনিতে মন্ত্রমুগ্ধ করবো তোমায়,
প্রিয়ভাষিণী আমায় সে সুযোগটুকু দিও,,,।।।