নাটোরের চলনবিলে ফসলি জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন

0
548

নাটোরের চলনবিলে ফসলি জমিতে অবাধে চলছে পুকুর খনন

ধারাবাহিক প্রতিবেদনের তৃতীয় পর্ব
নাটোর কণ্ঠ : নাটোরের সিংড়া উপজেলার ০২ নং ভাহিয়া ইউনিয়নের সাত পুকুরিয়া গ্রামের পাশে চলন বিলের মধ্যেই ফসলি জমিতে খনন করা হচ্ছে পুকুর।
অপার সৌন্দর্যের মহিমায় মহিমান্বিত এই চলনবিলের মধ্যে পুকুর খনন করা হলে একদিকে যেমন সৌন্দর্য হারাবে বিল। অপরদিকে চতুর্পাশের জমিতে সৃষ্টি হবে জলাবদ্ধত, এমনটাই মনে করছেন গ্রামবাসী।

খননকৃত জমির আশেপাশের জমি মালিকরা বলছেন এইখানে ২০ বিঘা আবাদি জমির উপরে খনন করা হচ্ছে পুকুর । আর এই পুকুর খনন করা হলে তাদের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। তাই প্রশাসনের নিকট তাদের আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে যেন এই অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ করে দেওয়া হয় নইলে তারা বিপদগ্রস্ত হবেন।

জমির মালিক আবুল কালাম হোসেন নাটোর কণ্ঠকে জানালেন, তার জমি বিলের নিচু জায়গা। জলবদ্ধতা সবসময়ই হয়ে থাকে। এই জমি থেকে তিনি কোন ফসল আবাদ পায় না। তাই বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত জমিতে খনন করছেন পুকুর। পাশের জমিতে যদি ফসল হয় তার জমিতে কেন ফসল হচ্ছে না এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

পুকুর খননকারী সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদককে এই পুকুর খননের ছবি তুলতে দেখে চড়াও হয় এবং ছবি তোলার সময় ক্যামেরা কেড়ে নেয়। তিনি জানান সকাল থেকে প্রায় ৪০ জন গণমাধ্যমকর্মী এসেছেন তাদেরকে অর্থ দিয়ে বিদায় করা হয়েছে। তবে কোন কোন গণমাধ্যম কর্মী এসেছে তাদের নাম জিজ্ঞেস করলে, নাম বলতে অস্বীকার করেন তিনি।

এ ব্যাপারে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিরুল ইসলাম নাটোর কণ্ঠকে জানান, বিষয়টা তিনি জানেন না, তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানালেন তিনি।

এভাবেই শস্যভান্ডার খ্যাত নাটোরে কমছে ফসলি জমির পরিমাণ। প্রশাসনিকভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করলেও কোনোমতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না পুকুর খনন। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে নাটোরে আবাদি জমি হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যায়াম ও মিথ 
পরবর্তী নিবন্ধবড়াইগ্রামে দুর্ঘটনায় মা-বাবা হারানো শিশুকে আর্থিক অনুদান

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে