নাটোরে জ্যৈষ্ঠর তীব্র খরতাপ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জনজীবন

0
468
Tapo

নাটোরকন্ঠ:

দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে উচুঁ ও কমবৃষ্টিপাত প্রবন এলাকা হিসেবে পরিচিত নাটোরের লালপুর উপজেলা। এদিকে জেলা জুড়ে গত কয়েক দিন ধরে টানা জ্যৈষ্ঠর তীব্র খরতাপে পুড়ছে চারদিক। সেই সাথে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট জনজীবন।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ও রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, এই দাবদাহ আরো কয়েক দিন অব্যহত থাকবে। আর বাতাসে আদ্রতা ও জলীয় বাস্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম বেশি অনুভুত হচ্ছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম ফান এর প্রভাবে গরমের তীব্রতা বেশি অনুভব হচ্ছে। তবে ঝড় যত উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে ততো পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে।

স্থানীয়রা বলছেন, একদিকে অসহ্য গরম, শিশুদের স্কুল বন্ধ, বড়রা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না। এমতাবস্থায় বিদ্যুৎ ও ঠিকমতো থাকছে না। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। ভ্যাপসা গরম আর ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে গালি দেওয়া ছাড়া মধ্যবিত্তের আর কিছুই করার নেই।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, জ্যৈষ্ঠ মাসে আম, লিচু ও কাঁঠালের পরিপক্বতা এবং পূর্ণ বিকাশের জন্য গরম ও তাপের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া বোরো ধান উত্তোলনের শেষ সময় চলছে। এ সময় গো খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ধান প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য রোদ্দুর প্রয়োজন। তবে এই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠছে রোজা দারদের। বেশ কয়েকবার গোসল করে শরীরে শান্তি পেতে চাইছে রোজাদাররা। তবে আবহাওয়া বিদরা বলছেন ঘূর্ণিঝড় উপকূলে অঞ্চলে আঘাত হানার পর অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশ কয়েক দিন থাকবে।

আগামী ২৪ ঘন্টার সারাদেশের আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফান এর প্রভাবে রাজশাহী বিভাগের বেশ কয়েকটি জায়গায় ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ও বড় ধরনের বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ঈদের আগেই আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশংঙ্কা
পরবর্তী নিবন্ধগুরুদাসপুরে শপিংমলে ঈদের কেনাকাটায় মানুষের ঢল, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে