নাটোরে দফায় দফায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হলেও দুর্বার গতিতে চলছে পুকুর খনন

0
771
nATORE KANTHO

ধারাবাহিক প্রতিবেদন -পর্ব ০১

নাটোর কন্ঠ : নাটোরে দফায় দফায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হলেও দুর্বার গতিতে তিন ফসলী চার ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। নাটোর সদর সহ বিভিন্ন উপজেলায় এখন মহোৎসবে চলছে তিন-চার ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন।তবে খননকারীরা বলছেন জেলা প্রশাসন‘এর মৌখিক অনুমতিতেই খনন করা হচ্ছে।এদিকে মৌখিকভাবে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানান জেলা প্রশাসক।

সরেজমিনে দেখা যায়, নাটোর সদর উপজেলার ইসলাবাড়ী গ্রামের বলদখাল মৌজার খামার বিলে চার ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন।বিলের চতুর্পাশে তাকালেই দেখা যায় বিগত দিনে গড়ে ওঠা পুকুর আর পুকুরের পাশে চাষবাসহীন পতিত হয়ে পরেে আছে অনেকের আবাদি জমি।সেখানে সৃষ্টি হয়েছে জলবদ্ধতা।ফলে চার ফসলি জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছে ওই এলাকার অনেক কৃষক এরই মধ্যে নতুন করে আবার খনন হচ্ছে পুকুর।পুকুর খননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন সেসব এলাকার ধারণ কৃষকরা।

খননকারী পুকুর মালিক নাটোর কন্ঠকে জানান, জেলা প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভাটায় দেওয়ার জন্য খনন হচ্ছে পুকুর। এদিকে নলডাঙ্গা উপজেলার ঠাকুর লক্ষীকোল গ্রামে চলছে পুকুর খনন, ভাটায় মাটি দেওয়ার জন্য প্রশাসন পুকুর খননের অনুমোদন দিয়েছেন,বলে জানালেন পুকুর খননকারী।তিনি আরো জানান শুধু এই একটি নয় নলডাঙ্গা উপজেলার মোট চারটা পয়েন্টে চলছে পুকুর খনন।

অপরদিকে সিংড়া পৌরসভার শোলাকুরা এলাকায় বিলের ফসলি জমির উর্বর মাটি একাধিক এস্কেবেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে কেটে নেওয়া হচ্ছে। সেসব মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়।

এ ব্যপারে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিরুল ইসলাম নাটোর কন্ঠকে জানান, বিষয়টা তিনি অবগত না।চলনবিলের মাটি খনন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইট ভাটা মালিকরা বলছেন, ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে। সরকারকে রীতিমতন ভ্যাট ট্যাক্স প্রদান করা হয়। এমত অবস্থায় মাটির সংকটে আমরা। যদি সঠিকভাবে মাটি না পাই তবে ভাটা বন্ধ করে দিতে হবে। মাটি সংকটের কারণে ইতিমধ্যেই কয়েকটি ভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। ভাটা যদি বন্ধ হয় তাহলে ইটের দাম বৃদ্ধি পাবে। আর আমাদের যেহেতু বৈধ রেজিস্ট্রেশন আছে সেই সুবাদে সরকারি ভাবে আমাদেরকে মাটি দেওয়া উচিত। তাই প্রশাসন মৌখিকভাবে আমাদেরকে ইটভাটা প্রতি একটি করে পুকুর খননের অনুমোদন দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ইট ভাটা মালিক নাটোর কন্ঠকে জানান, কোথায় কোথায় পুকুর খনন হচ্ছে তা প্রশাসনের কাছে তালিকা দেওয়া আছে। বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলায় মোট ইটভাটা রয়েছে প্রায় ২৬৩ টি।তার মধ্যে শতাধিক ইট ভাটার নেই বৈধ কাগজপত্র।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়ার নাটোর কন্ঠকে জানান, মৌখিকভাবে পুকুর খননের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি কোন পুকুর খনন করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রিয় পাঠক ধারাবাহিক এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব পাঠের জন্য আমন্ত্রণ রইল

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের সিংড়ায় উদ্ধারকৃত ৫ পেঁচা ছানা বন্যপ্রাণী পুর্ণবাসন কেন্দ্রে হস্তান্তর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে