নাটোরে ফসলি জমিতে বন্ধ হচ্ছে না পুকুর খনন! কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি প্রশাসনের

0
14627
nATORE KANTHO

ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব

নাটোর কণ্ঠ : নাটোরে নানা বাধার মাঝেও চলছে পুকুর খনন। আবাদি জমিতে পুকুর খননের অপরাধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রশাসনের।তবে প্রশাসনের কারসাজিতেই ফসলি জমিতে হচ্ছে পুকুর খনন, এমন অভিযোগ মাঠ পর্যায়ে।

রাজস্বখাতে বড় একটি অর্থের যোগান দেয় ইটভাটা।নীতিমালা অনুযায়ী ইটভাটায় মাটির ব্যবস্থা করে দেওয়া প্রশাসনের দায়িত্ব। প্রশাসন ইটভাটার জন্য পুকুর খননের অনুমতি দিয়েছেন এমন সত্যতা নাটোর কণ্ঠ পেয়েছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে এমন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইটভাটা মালিকরা বলছেন, ফসলি জমিতে পুকুর খনন অবৈধ।আর সেই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তারা জড়িত নয়।বা সমর্থন করেন না। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে দেখা যায়, ফসলি জমিতেই একের পর এক খনন করা হচ্ছে পুকুর।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, নাটোরে প্রতিবছর গড়ে প্রায় আটশত হেক্টর ফসলি জমি কমছে।অবাধে পুকুর কাটায় বিগত ১০ বছরে কমেছে, ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি।

সরকারি হিসেবে নাটোর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে সর্বমোট বিল রয়েছে ১৯টা। তবে প্রকৃতিপ্রেমিকদের মতে সংখ্যা বিপুল পরিমাণ।এই সমস্ত বিলে একটি পুকুর খনন হলে, চতুর্পাশে সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা। পরবর্তী বছরে পাশের জমি মালিক শুরু করে পুকুর খনন। এভাবেই বিলের অনেকাংশই দখল হয়ে যাচ্ছে পুকুর খননে।অপরদিকে জলবদ্ধতা সৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে।

এই সঙ্কট নিরসনে সরকারিভাবে সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছেন সচেতন মহল। অন্যদিকে মাটি বিক্রেতাদের দৌরাত্ম্যে  আবাদি জমির পরিমাণ যেমন কমছে, অপরদিকে যে পুকুর খনন হচ্ছে, তা মৎস্য চাষের অনউপযোগী বলে মনে করছেন মৎস্য বিভাগ।

তারা বলছেন মৎস্য চাষের জন্য একটি পুকুর সর্বোচ্চ ১২ ফিট গভীর করা দরকার। তবে সরেজমিনে দেখা গেছে অনেক পুকুর ৩৬ ফিট গভীর করা হয়েছে, যেখানে মাছ চাষের কোন সম্ভাবনাই নেই।  তাহলে লাভের আশায় যে কৃষক দৌড়াচ্ছে, সে কোথায় গিয়ে দাঁড়ালো ? এমন প্রশ্ন আসতেই পারে। তবুও অনেক কৃষক দুই থেকে তিন বছর সাধনা করে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই খনন করছে পুকুর!

প্রশাসনিকভাবে আবাদি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খননের দায় বিগত বছরগুলোতে এস্কেভেটর (ভেকু)মেশিনের ব্যাটারি জব্দ, খনন কারিদের বিরুদ্ধে মামলা ও জরিমানা করলেও, চলতি বছরে কেবলমাত্র ব্যাটারি জব্দ করা হচ্ছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায় একজন মাটি বিক্রেতা প্রতিদিন খরচ বাদ দিয়ে রোজগার করছেন প্রায় এক লক্ষ টাকা। তাই ১৬ হাজার টাকা দামের ব্যাটারি জব্দ হলেও পরবর্তীতে তারা ব্যাটারি কিনে আবার শুরু করছে পুকুর খনন…

প্রিয় পাঠক সরেজমিন প্রতিবেদন জানতে চোখ রাখুন নাটোর কন্ঠের পঞ্চম পর্বে।

চলবে…

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নে ওয়ার্ড আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধডন শিকদারের মধ্যাহ্ন সিরিজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে