পাহাড়ের গায়ে ধুলোর কান্না ঝরে
কবি মাহফুজা আরা পলক
বসুধার বুকে জেগে উঠা
আবহমান কালের প্রকৃতির
মৌন রোদনে ব্যথাতুর হৃদয়
প্রশ্নবিদ্ধ হয় বারে বারে,
বৃক্ষ নিধন, পাহাড় নিধন,
আর কতকাল চলবে জন্মভূমির পরে?
সবুজ চাদরে জড়ানো পাহাড় গুলো
ভেকু দানবের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে
রক্ত বরণ দেহ থেকে অঝোর ধারায়
ধুলোর কান্না ঝরে।
মল পরা আদিবাসী কন্যাদের পদচারণায়
মুখরিত হতো যে বন বনানী,
পিচঢালা পথ, সাথে যানযট
হায়!কোথায় হারালো সেই
সরু আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ খানি।
পাহাড়ের খাঁজে উঁকি দেয়া রবিকর
হাসেনা সেই আগের মতো করে,
ধোঁয়ায় ধূসর বিষাক্ত বায়ুতে
কেবল ধ্বংসের ডামাডোল বাজে।
সভ্যতার সুবাদে উজাড় আজ
সবুজ বৃক্ষরাজি,
সভ্যতার অন্তরালে কান পেতে শুনি
বুকে হিম ধরা বর্বরতা নামক প্রেতের অট্টহাসি,
বিলীন বনে ঠিকানা চ্যুত অরণ্যের সকল পশু-পাখি।
শঙ্কিত হৃদে জোছনা রাতে
অপলক নয়নে বাঁশরি হাতে
কোন আদিবাসী মরদ চেয়ে দেখে আকাশ পানে,
পাহাড়ের গায়ে টিকে থাকা বৃক্ষের
চিরল পাতার ফাঁকে,
ব্যথাতুর হৃদয়ে কেঁদে কেঁদে
প্রহসনের বাণে বিদ্ধ সৌন্দর্য বিহীন
নিমরাজি রূপালী জোছনা ঝরে।।
১০/০১/২০২১