বাংলাদেশে পঙ্গপালের ঝাঁক ব্যাপক ফসলহানির আশঙ্কা- রেজাউল করিম খান
তরুণ বয়সে কাজী আনোয়ার হোসেনের লেখা মাসুদ রানা সিরিজের বই পড়েনি, এমন যুবক খুব কমই মিলবে। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর
প্রথম বই ‘ধ্বংস পাহাড়’। পরের বইয়ের নাম ‘ভারত নাট্যম’। ১৯৬৭ সালে পড়া ভারত নাট্যমের কাহিনী সম্পূর্ণ এখন আর মনে নেই। তবে বেশ মনে আছে, ভারতের একটি সাংস্কৃতিক দল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আসে অনুষ্ঠান পরিবেশনের জন্য। দলের সাথে ছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল। দলটি ট্রেনে ভ্রমণকালে রেলপথের পাশে নামিয়ে দিতে থাকে পঙ্গপাল। ভয়ঙ্কর কীট এই পঙ্গপাল। তাদের একটি দল মুহূর্তেই শেষ করে দিতে পারে কয়েক মাইল মাঠের ফসল। মাসুদ রানার ওপর দায়িত্ব পড়ে তাদের ঐ অভিযান ব্যর্থ করার।
এরপরও মাঝেমধ্যে শুনেছি পঙ্গপালের কথা। কিন্তু আজ বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এই সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন দেখে শিউরে উঠলাম। করোনা থেকে হয়তো বাঁচবে একদিন মানুষ। কিন্তু পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে ফসল কি বাঁচনো যাবে? ওরা ইতিমধ্যে টেকনাফে ঢুকে পড়েছে।
পুরনো সংবাদপত্র থেকে জানা গেলো, গত বছরের শেষ দিক থেকে আফ্রিকার ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়াসহ কয়েকটি দেশে আক্রমণ চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে পঙ্গপাল। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানে পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়। পঙ্গপালের উৎপাতে দেশটিতে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
এরপর ভারতের পাঞ্জাবে ঢোকে পঙ্গপাল, যার ব্যাপ্তি ছিল তিন কিলোমিটার। সে প্রেক্ষাপটে পাঞ্জাবের আশেপাশের কয়েকটি রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়।
এরপরই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংস্থা।
আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে, নতুন ধরনের পঙ্গপালের ১০ লাখ পতঙ্গের একটি ঝাঁক একদিনে ৩৫ হাজার মানুষের খাবার খেয়ে ফেলতে পারে।
Advertisement