বাগাতিপাড়া উপজেলা মধ্যবিত্ত পরিবার, চাইতে না পারায় বাড়ছে ক্ষুধার তীব্রতা!

0
400
news

মো. রাজিবুল ইসলাম বাবু : ভয়াবহ করোনার মরণ থাবার ভয়ে চরম বিপাকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা ২নং জামনগর ইউনিয়নে, সর্বমোট ৮ওয়ার্ডের গারুড়ীয়া কর্মহীন ঘরবন্দী খেটে খাওয়া নিত্য আয়ের মানুষগুলো। এদের জমানো যে পুঁজি ছিল তাও এখন শেষ। পাশের উপজেলা পুঠিয়ায় ২ জন করোনা সনাক্ত হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

বগাতিপাড়া উপজেলার শেষ সিমানা হতে পুঠিয়া উপজেলার শেষ সিমানার দূরত্ব মাত্র ৪ কিঃমি, চারিদিকে হাহাকার। এসব লোকজন না পারছে ঘর থেকে বের হয়ে কর্মে ফিরতে, না পারছে অন্যদের মতো ত্রাণের জন্য এদিক ওদিক ছুটতে। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে কাটছে এদের দিন।

ঘরবন্দি পরিস্থিতি যত দীর্ঘ হচ্ছে এদের অবস্থা ততোই খারাপ হচ্ছে। হত দরিদ্রদের নিয়ে ভাবলেও কর্মহীন এসব নিত্য আয়ের মানুষগুলোকে নিয়ে কেউ ভাবছেন না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। অপরদিকে বাগাতিপাড়া উপজেলা সব স্থানেই রয়েছে নিত্য আয়ের মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে স-মিলের শ্রমিক, রিক্সা-ভ্যান চালক, সিএনজি চালক, কেউ আবার গণপরিবহণের শ্রমিক, চা দোকানী এবং হোটেল-রেস্তোরায় কাজ করেন।

এদের অনেকেই এখন পর্যন্ত পায়নি কোনো ত্রান সহযোগিতা। করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় অনেক কষ্টে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন বলে জানান তারা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ও জনসমাগম এড়াতে গত মাসের ২৬ মার্চ থেকে সরকারী ছুটি চলছে।

করোনা বিস্তার রোধে প্রায় ২৫ দিন ঘরে থাকার কারণে বাগাতিপাড়া উপজেলার খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। করোনা মোকাবেলায় সামাজিক নিরাপত্তা খাতে সরকারী যে খাদ্য সহায়তা কর্মসুচী তা এখন অনেকটা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নে খেটে খাওয়া মানুষদের সাথে, কাজ করে সংসার চালান তিনারা ।

কাজ না থাকায় আয়-রোজগার সব বন্ধ। হাতে যা ছিল তা শেষ, ঘরে খাবার নাই এখন কিভাবে সংসার চালাবে তা নিয়ে খু্বই দুশ্চিন্তায় সময় পার করছেন তারা। সরকার থেকে বিভিন্ন যায়গায় অনেক খাদ্যসামগ্রী বিতারণ করা হলেও জামনগর ইউনিয়ন অসহায়রা সবাই পাইনি এ কথা বলে মনের অজান্তেই চোখের জল টলটল করতেছিল।

কথা হয় বিভিন্ন পরিবহণের ড্রাইভার, রাজমিস্ত্রী, ইলৈকট্রিশিয়ান, এদের সাথে, তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সরকার আমাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্ত ইনকাম না থাকলে আমরা খাবো কি ? তাই মাঝে মধ্যে বের হই। কিন্ত যাত্রী কম আবার পুলিশের তাড়া তো আছেই। শুনেছি এর আগে বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন জায়গায় চাল-ডাল দিয়েছে। কিন্ত আমরা তা পাইনি। এ পরিস্থিতিতে কীভাবে সংসার চালাবে পরিবার তা নিয়ে অচিন্তিত এই মধ্যবিত্ত মানুষ গুলো।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলা পরিষদের সদস্য ফরিদা পারভীনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের গুরুদাসপুরে দুস্থদের জন্য মেয়র কল্যাণ ট্রাস্টের উপহার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে