ভুলিয়ে দাও
কবি গোলাম কবির
বুকের ভিতরে কিছু কষ্ট জমে
বরফে ডুবে থাকা পাহাড় হয়ে আছে!
এখানে কেউ এসো না সেই পাহাড় কেটে
চলার পথ বানাতে কিংবা হেসো না কেউ
আমার কষ্টের উৎফুল্ল মেঘের উড়ে উড়ে
সমুদ্রের গাঙচিল হতে দেখে। যদি পারো,
তবে একমুঠো আগুন নিয়ে জ্বালিয়ে দাও,
শোকের অনলে পুড়ে ভষ্মীভূত হোক
আমার যতো কষ্ট। এখানে এখন
অনেক না বলা গভীর কষ্টে নীল হয়ে
যাওয়া মেঘেরা খেলা করে সাদা নরম
তুলার মতো মেঘেদের সাথে।
যদি পারো তবে ভুলিয়ে দাও আমাকে
একটা নদীর মরে যাবার কষ্ট!
ভুলিয়ে দাও আমার গ্রামের হাটতলার
সবচেয়ে প্রাচীন বটগাছ উপড়ে ফেলে
সেখানে গড়ে তোলা আধুনিক শপিং মলের
চোখ ধাঁদিয়ে দেয়া আলোর ঝলকানিতে
আমার কষ্টের রোদ , ভুলিয়ে দাও
মেঠোগানের সুরে হৃদয়ের আলোড়নে
সময়কে তুচ্ছজ্ঞান করা উদাস দুপুরবেলা!
পারলে ভুলিয়ে দাও অনেক স্মৃতির
নরম রোদে পোড়া পাখিদের গান শোনা
সন্ধ্যাবেলায় ক্লান্ত ঘরে ফেরা!
এই নাগরিক সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সের
হুইসেল বেজে চলা পাথরসময়ে বড্ড বেশি
হাঁপিয়ে উঠেছি, হৃদয়ে শুধুই ধুকপুক করছে
প্রাণহীন শহুরে কোলাহলময়তা আর
সোডিয়াম বাতির আলোয় আলোকিত
রাস্তার মানুষের বঞ্চনার অসহায় দীর্ঘশ্বাস।