সুমন দত্ত’র দু’টি কবিতা

0
663
natorekantho, sumon

♥ সম্পর্ক ♥

ভালোবাসার ধারাপাত থেকে তৈরি হয় সম্পর্কের নৈকট্য কিংবা দূরত্ব,
চেনা অচেনার জাল ছিঁড়ে আপন-পরের বসতি তৈরি হয়।
কার কোথায় অবস্থান সেটা বড় কথা নয়…
মানুষের বিশ্বাসের সেতুটাই
মানুষকে মনুষ্যত্বের বিচারে
বাঁচতে শেখায়।
সম্পর্কের অপরিসীম ক্ষমতা…
মানুষের যাপিত জীবনের ঐশ্বর্য সম্ভার।
পথে পথে এ উহার সাথে দেখা হয়।
নতুন পথে সম্পর্কের বিনুনি
এগিয়ে চলার ঠিকানা দেয়
আমাদের সকলের অস্তিত্বের ঘরদোর উঠোনে।
এ যেন ঠিক দিন-রাত্রির গবেষণার ফসল।

সম্পর্ক আমাদের ভালোবাসা
সম্পর্ক আমাদের জীবন আশা
বিনি সুতোর বিনুনি
রাখলে আছে না রাখলে নেই।
পাখি উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে
যে রকম এনে দেয় জীবনের প্রত্যাশা
সম্পর্ক তা-ই।

আজব দুনিয়া—— সুমন দত্ত।

আলো বলে, তুমি আছ;
অন্ধকার বলে, নাই।ছিলে না কখনো।
আলো হাসে।হাতে তার অকাট্য প্রমাণ।
আলোর ক্যানভাসে অলকানন্দার মতো
ফুটে আছ অজস্র তুমি।
অন্ধকার ভ্রু কুঞ্চিত করে।
মৃদু ডানা ঝাপটায়।
মুহূর্তে নাই হয়ে যায় সব।
তোমার তল্লাশে আমি
পৃথিবী তোলপাড় করি।
ঠা ঠা শব্দ হেসে ওঠে নিধুয়া পাথার।

অন্ধকার গলতে থাকে
বরফের মতো।
মৃত লখিন্দরের মতো
আমি ভাসতে থাকি রক্ত হিম
করা সেই জলে।’
তুমি নাই তুমি নাই’–
রব চারদিকে।
অকস্মাত্‍ কোথা থেকে
ছুটে আসে আলোর বেহুলা।
শঙ্খিনী শরীরে তার
সহস্র সূর্যের দ্যুতি।
অন্ধকার উবে যায় কর্পূরের মতো।
সঞ্জীবনী মন্ত্রের মতো বাতাসে
ভেসে বেড়ায় তোমার সুঘ্রাণ।

‘তুমি আছ তুমি আছ’–বিশ্বের মহত্তম
এই গান বদলে দেয় সবকিছু।
থেমে যায় আত্নঘাতী বোমার বর্ষণ।
মুষলধারে বৃষ্টি নামে খরাকবলিত পূর্ব আফ্রিকায়।
আলো ফোটে আমার সোনার বাংলার জন্মান্ধ চোখে।
আমার কবন্ধ পিঠেও দ্যাখো কী অদ্ভুত সুন্দর দুটি ডানা।
আলোর মুখে ভুবনজয়ী হাসি।
বিশাল এক বাজের মতো অকস্মাত্‍ অন্ধকার দেয় হানা।

নাই নাই কিছু নাই বলে ঠা ঠা শব্দে হেসে ওঠে নিধুয়া পাথার।
আলো-অন্ধকারে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে আজব দুনিয়া॥

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধ“মোনালিসা “পাপ্পু আহাম্মেদের কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধআসাদজামানের দু’টি কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে