—আহমেদ শিপলু
সমাজ মানে আইনকানুন নিয়মের বেড়ি আর শুধু কাজ, অর্থ-ধান্দা নয়; শ্বাস নেবার জন্য উদ্যান থাকতে হয়, মনোরঞ্জন আর প্রশান্তির জন্য কিছু উপকরণ লাগে।
একসময় পালাগান, যাত্রাপালা ছিল, পরে এসেছে সিনেমা, টিভি; পূরণ করেছিল সময়ের চাহিদা। তারপর আকাশ-সংস্কৃতির ব্যপক বিস্তার পুরনো সবকিছু মুছে দিয়েছে। কিন্তু মানুষ তার জেনেটিক কোড এর নির্দেশ ফলো করে অবচেতনে, তাই সাম্প্রতিক সংস্কৃতি তার জন্য কাল হয়েছে। নিজেকে না বদলে বা সাঁতার না শিখেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে আনন্দ সাগরে, এরই ফাঁকে করপোরেট দুনিয়া তার ব্যবসা পোক্ত করেছে। মানুষ খেয়ালই করেনি যে সে সিনেমা দেখতে আর হলে যায় না, মঞ্চে সামনের অন্ধকার অডিয়েন্সে খালি চেয়ার পড়ে থাকে; সে জানে না টিভিতে এখন বিনোদন মানে সংবাদ আর রাজনৈতিক টকশো।
এভাবে একটা সমাজ চলতে গিয়ে শিক্ষাকে ব্যবসা বানালো, রাজনীতিকে টাকা কামানোর মেশিন বানালো, চিকিৎসাকে ধনী হওয়ার উপায় বানালো, যুবসমাজের নারীরা বাড়তি কাপড়ে আবৃত হল, পুরুষেরা মাদকের আখড়ায় নিজেকে সঁপে দিল আর ক্রমশ প্রেমহীন, ভালোবাসাহীন ধর্ষকে রুপান্তরিত হলো!
ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার হলেই এর সমাধান হবে, তা আমি বিশ্বাস করি না।