ঐক্য-অনৈক্য ।। ২৯ ফেব্রুয়ারি -এস এম বাবু

0
216
এস এম বাবু

এস এম বাবু : শুধুমাত্র কথোপকথন বা আলোচনা’র ক্ষেত্রে ‘বারবার ভিন্ন মত’ হলে তার নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী। এতে দুই পক্ষের মধ্যে অনাস্থা তৈরী হয়, প্রভাব পরে পরবর্তী প্রজন্মের ওপর। ব্যক্তি বা সমাজ এমনকি রাস্টীয় পর্যায় পর্যন্ত এর প্রভাবে ‘একক’ এবং ‘সামস্টিক’ সম্ভাবনা গুলো নস্ট হয়, তা যত ছোটই হোক। নেতিবাচক ভাবনা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে। ‘BRAIN POWER’ শীর্ষক গবেষনা মূলক বইয়ে Michael J. Gelb এবং Kelly Howell বিস্তারিত লিখেছেন।
নেতিবাচক কথোপকথন সংগ্রাম করে সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা শুধু নস্ট করে-তাই নয়। বরং সংগ্রামের শক্তিই হ্রাস করে। এতে মন শুধু নয়, শরীরের শক্তিও কমে যায়। অসুস্থতা বাড়তে থাকে। কত তত্ত্ব-ই না জানা আমাদের।
তারপরেও…….
গত একযুগে…..
মতৈক্যে’র চেয়ে মতানৈক্য বেশী। ‘নিরবতা’, ‘ভাল কথা’ আর ‘অপছন্দনীয় কথা’র বিবেচনায় শেষটি, অর্থাৎ অন্যের পছন্দ হয় না, এমন কথোপকথন-ই হয়তো বেশী। প্রায় চূড়ান্ত নেতিবাচক সম্পর্ক বিষয়ক শব্দও উচ্চারিত হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু সম্পর্ক ছিন্ন করা কি এত সহজ!!!! যেখানে অসম্ভব নির্ভরতা তৈরী হয় দিনে দিনে… পারস্পরিক দায়িত্ববোধ বাড়ে…. সেখানে সব মতানৈক্য হারিয়ে যায় কোনো না কোনো ভাবে….. শুধু দু’জনের সম্পর্ক নয়, সম্পর্কের এই গন্ডি দুইয়ে দুইয়ে চার, চার-এ চার-এ আট বা ষোল…… কত মানুষের মধ্যে এই বন্ধন। এত মানুষের মনোবল-সম্পর্ক অটুট রাখার জন্য সেই একক মতামত তুচ্ছ করতে হয়। যুক্তিবাদী তত্ত্ব সব ক্ষেত্রে প্রাধান্য না পেলে কি-ই বা ক্ষতি!!

মা-বাবা আর প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্কুল এবং সহশিক্ষায় যাদের কাছে আমার ঋণ – তারা আমাকে অনেক কিছুর সাথে যা শিখিয়েছেন, তার অন্যতম হলো-আত্মনির্ভরতা। জীবনের বেশীর ভাগ সময় সেই শিক্ষায় উজ্জিবিত থাকলেও এখন ছোট খাটো কত না ক্ষেত্রে আমি তোমার উপর নির্ভরশীল। তোমার সাথে জন্ম তারিখ আর বিয়ের দিন-তারিখ তো মিলে গেছেই, মেয়ে দু’টা দাঁড়িয়ে গেলে একই দিন-তারিখে মৃত্যুতেও আপত্তি নাই।

শুভ ২৯ ফেব্রুয়ারি

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধমায়াপুরি -কবি রাজিব এক্কা রাজ‘এর কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধনাটোর হাসপাতালের সাবেক আরএমও ডা: মাহবুব করোনা আক্রান্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে